ডেইলি চিরন্তন:বাজার করা বা ট্যাক্সি ডেকে দেওয়ার মতো রোজকার প্রয়োজনীয় কাজগুলো এখন কেমন সহজ হয়ে গিয়েছে। এমনকী ছবি তোলা বা গান শোনাও এখন আগের চেয়ে বহু গুণ সহজ। সৌজন্যে? হাতে থাকা ছোট্ট একখানি স্মার্টফোন। এ সব কাজের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় কাটানো তো রয়েছেই। ফলে, দিনের সিংহ ভাগ সময়ই কেটে যায় স্মার্টফোনের সঙ্গে। আর এতেই ঘাড়়, কাঁধ, পিঠে ব্যথা, এমনকী হার্নিয়ার সমস্যাও বাড়ছে। এমনটাই জানাচ্ছেন গবেষকেরা।
সাধারণ অবস্থায় বসে সামনের দিকে তাকালে আমাদের মাথার ওজন থাকে সাড়ে ৪ থেকে ৫ কেজি। ১৫ ডিগ্রি হেলিয়ে দিলে সেই ওজনই ১২ কেজি অনুভূত হয়। মাথা ৬০ ডিগ্রি হেলিয়ে বসলে মেরুদণ্ডের উপর প্রভাব পড়ে তার ওজন অনুভূত হয় ২৭ কেজি। যে কারণে চিকিত্সকরা জানাচ্ছেন, বেশ কম বয়সের ছেলেমেয়েরা, যাদের এখনও ঘাড় বা কাঁধের সমস্যা হওয়ার কথা নয়, তারাও আসছে সেই সব সমস্যা নিয়ে। থাকছে হার্নিয়ার সমস্যাও।
লস অ্যাঞ্জেলসের সেডরাস-সিনাই মেডিক্যাল সেন্টারের স্পাইনাল নিউরোসার্জন ট়ড ল্যানম্যান বলেন, সাধারণত এক্স-রেতে আমাদের ঘা়ড়ে বাইরের দিকে হেলানো কার্ভ লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু যাঁরা এই ধরনের সমস্যা নিয়ে এসেছেন তাঁদের মেরুদণ্ডের এক্স-রেতে দেখা গিয়েছে সেই কার্ভ ভিতরের দিকে। ক্রমাগত স্মার্টোফোনে কাজ, অনলাইন ব্রাউজিং ও ভিডিও দেখার কারণেই এমনটা হয়েছে।
চিকিত্সা বিজ্ঞানের ভাষায় একে টেক্সট নেক বলা হয়ে থাকে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, লাইফস্টাইলে সাধারণ কিছু পরিবর্তন আনলে এই সমস্যা থেকে দূরে থাকা যায়। যদি একান্তই স্মার্টফোনে অনেক ক্ষণ কাজ করতে হয়, তা হলে ঘাড় সামনের দিকে না ঝুঁকিয়ে ফোন চোখের সামনে তুলে ধরে কাজ করতে পারেন। সাধারণত আমরা টেক্সট করার কাজে এক হাত ব্যবহার করে থাকি বলে মেরুদণ্ডের উপর বেশি চাপ পড়ে। এ ক্ষেত্রে কাজ করার সময় দুই হাত বা টাইপ করার সময় দুই হাতের বুড়ো আঙুল ব্যবহার করলে মেরুদণ্ডের উপর কম চাপ পড়বে।
তবে শুধু স্মার্টফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রেই নয়, কম্পিউটার ডেস্কে কাজ করার সময়ও মনিটর কিছুটা উঁচুতে, চোখের সঙ্গে সমান্তরালে রেখে কাজ করলে এই সমস্যা কমানো যেতে পারে বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা।
স্পাইন জার্নালে এই গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে।সূত্র-আনন্দবাজার
Leave a Reply